এ সময় আতিকুর রহমান বলেন, “‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শান্ত বিশ্বাস ও তার বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছি। তারেক রহমান একটি দৈনিক পত্রিকায় শান্ত বিশ্বাসের সংবাদ দেখে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ও শুভকামনার বার্তা পৌঁছে দিতে আমাদের পাঠিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মেধাবী ছাত্র শান্ত বিশ্বাসের ভবিষ্যৎ আরও সাফল্য কামনা করেছেন। প্রতি মাসে মাসিক শিক্ষা ভাতা দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, শান্ত বিশ্বাস কামারখন্দ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কল্পনা বিশ্বাস ও জয়কৃষ্ণ বিশ্বাস দম্পতির ছেলে। দুই ভাইবোনের মধ্যে শান্ত বড়। ছোট বোন তৃষ্ণা বিশ্বাস স্থানীয় চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জয়কৃষ্ণ বিশ্বাস বাড়িতে শিঙাড়া তৈরি করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করেন। মা বাড়িতে সুতা কেটে যে টাকা আয় করেন, তা দিয়েই কোনোমতে চলে তাঁদের সংসার। অভাবের সংসারে কষ্ট করে পড়ালেখা করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন শান্ত। কিন্তু অর্থাভাবে তাঁর ভর্তি ও পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এ নিয়ে সোমবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘বুয়েট ও কুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি ও পড়ালেখা অনিশ্চিত শান্ত বিশ্বাসের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।