Homeদেশের গণমাধ্যমেবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শিগগিরই

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শিগগিরই


পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। 

রবিবার (২৭ অক্টোবর) ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রণীত মডিউলের আলোকে চার মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম খুব শিগগিরই শুরু করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইতোমধ্যেই ইউজিসি থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

কর্মশালায় জানানো হয়, ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষকদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি প্রশিক্ষণ মডিউল ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে। ইউজিসি বাস্তবায়নাধীন হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পের আওতায় ধারবাহিকভাবে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

ইউজিসি’র এসপিকিউএ বিভাগের পরিচালক ড. দূর্গা রানী সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন— কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরূল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া ও হিট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান।

ইউজিসি’র এসপিকিউএ বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনির উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপিস্থত ছিলেন— বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া, এসপিকিউএ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন, এসপিকিউএ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক, ইউজিসি’র যুগ্ম-সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহম্মদ নাজমুল ইসলামসহ ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, শিক্ষকদের অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক ও আত্ম-ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ আয়োজন করা জরুরি। শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যেকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষাকে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা না গেলে শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হবে। উচ্চশিক্ষার এ বিষয়গুলো প্রশিক্ষণ মডিউলে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, গুণগত শিক্ষায় সামাজিক বাস্তবতার প্রতিফলন থাকতে হবে। সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এ সমস্যা সমাধানে শিক্ষার ভূমিকা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কোথায় এবং আমরা কোথায় যেতে চাই— সে বিষয় নির্ধারণ করা খুব জরুরি। অন্যথায়, উচ্চশিক্ষার মনোন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনায় সীমাবদ্ধতা থেকে যাবে।

হিট প্রকল্প উচ্চশিক্ষার রূপান্তরে নতুন প্রত্যাশা তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত