এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। পর্যালোচনা কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বুয়েটের সহ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরী; কেপিএমজি বাংলাদেশের সাবেক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আলী আশফাক, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন ও ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান।
চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে ট্যারিফ কাঠামোয় অনেকগুলো ব্যাপার আছে। এসব বিষয় নিয়ে দর–কষাকষির বিষয় আছে। তাই তাঁরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া বিদেশি আইনি পরামর্শক নিয়োগেরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
তবে ট্যারিফ পর্যালোচনা কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দর–কষাকষির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এত বছরে তাঁরা কী পরিমাণ বাড়তি মুনাফা নিয়ে গেছে, সেই হিসাব করতে হবে আগে। এরপর তা সমন্বয় করে আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে রাজি হলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দর–কষাকষি হবে, না হলে চুক্তি বাতিল করতে হবে।