বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত স্বাধীন কমিশন কোনো কিছুতেই প্রভাবিত হবে না উল্লেখ করে তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের বুদ্ধি, বিবেচনা, প্রজ্ঞার ওপর নির্ভর করে নিরপেক্ষভাবে আমরা এই তদন্ত নির্ধারিত সময়ে শেষ করার ঐকান্তিক চেষ্টা করব। এই কমিশন কোনো কিছু দ্বারা প্রভাবিত হবে না, এটার নিশ্চয়তা আমি আপনাদের দিতে পারি। বিডিআর বিদ্রোহের পরবর্তী সময়ে যাঁরা নিগৃহীত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন, বঞ্চিত হয়েছেন—সবকিছু আমরা নজরে নেব। আমাদের কাজ শেষ হওয়ার পর যেন প্রশ্ন না ওঠে, আমরা কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি।’
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চলছে, এর মধ্যে আবার তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। এখানে বিষয়টি সমন্বয় হবে কীভাবে—এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনে চেয়ারম্যান বলেন, এ জন্য কমিশনে দেশের দুজন ও আন্তর্জাতিক মানের দুজন বিদেশি আইনজ্ঞ সম্পৃক্ত করতে বলা হয়েছে। এসব বিশেষজ্ঞ আইনজীবী অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে।
বিজিবির সাবেক এক মহাপরিচালককে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া হয়েছে, যিনি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তদন্ত কমিশন কারও দেশত্যাগে বিধিনিষেধ আরোপ করছে কি না—এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ফজলুর রহমান বলেন, ‘এটা নিয়ে আলোচনা করব। যদি আমরা মনে করি, তদন্তের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে কারও দেশে অবস্থান করা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’