বাংলাদেশের শিল্প ও আর্থিক খাতের অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সাবেক বিজিএমইএ সভাপতি কুদ্দুসের প্রথম জানাজার নামাজ গুলশান গ্রান্ড আজাদ মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় মরহুমের গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে। পরে সেখানে মিয়া বাজারে পারিবারিক গোরোস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
১৯৪৯ সালের ৪ মার্চ কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। তিনি একাধারে ছিলেন একজন অগ্রপথিক, দূরদর্শী নেতা এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তিনি ড্রাগন গ্রুপ এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড-এর প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের (RMG) ইতিহাসে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করেছেন, যেখানে শিশু শ্রম নির্মূলের জন্য তার একক প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছিল।
দেশের সোয়েটার শিল্পের জনক হিসেবে পরিচিত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন, যা লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও নিবেদিত দেশপ্রেমিক হিসেবে তিনি বাংলাদেশের উন্নতি ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করেছিলেন।
আরএমজি, টেক্সটাইল এবং আর্থিক খাতে তার অসামান্য অবদান অনস্বীকার্য। মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস শুধু শিল্পের অগ্রগতি ঘটাননি, তার অদম্য মানসিকতা ও অঙ্গীকার দিয়ে অগণিত মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। সত্যিকারের একজন নায়কের মতো তিনি তার জীবন যাপন করেছেন এবং জাতির জন্য নিরলসভাবে লড়াই করেছেন। তার অমূল্য অবদান আমাদের ইতিহাসে চিরস্থায়ী স্মৃতিচিহ্ন হয়ে থাকবে।