খুলনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক কর্মীর চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। তার দুই চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল ইউনিয়নের কাঁটাবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দিঘলিয়া থানার ওসি এইচ এম শামীম বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
আহত মোহাম্মদ মন্টু শেখ ওরফে মন্টুগাছি উপজেলার চন্দনীমহল ইউনিয়নের বিএনপির কর্মী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষক দল নেতা সরফরাজ হোসেন ও বিএনপির কর্মী মোহাম্মদ মন্টু শেখ ওরফে মন্টুগাছির মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল। সেই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মন্টু গাছি চা খাওয়ার জন্য চন্দনীমহল কাটাবন এলাকার জনৈক নারদের দোকানে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে প্রবেশ করে কৃষক দল নেতা সরফরাজ হোসেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এতে সরফরাজের লোকজন মন্টু গাছির ওপর হামলা চালায় এবং একপর্যায়ে মন্টুর চোখের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে। এতে তিনি মারাত্মক জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুর রহমান মিন্টু বলেন, জরুরি কাজে আমি যশোরের ঝিকরগাছা আছি। সেখান থেকে ফেরার পথে জানতে পারলাম মন্টু নামে একজনের চোখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এর মধ্যে মন্টু বিএনপি কর্মী এবং সরফরাজ কৃষক দল নেতা। ওসির সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন মন্টুর দুটি চোখই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে সরফরাজ ও মন্টুর মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।
দিঘলিয়া থানার ওসি এইচ এম শামীম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ মন্টু শেখ ওরফে মন্টুগাছি ও কৃষক দল নেতা সরফরাজ হোসেনের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরফরাজ ও তার লোকজন মিন্টুর ওপর হামলা চালায়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।