যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে বসবাসকারী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে বাংলা সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। ভারতে ব্রিটিশ শাসনে থাকার সময় থেকেই লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করেন বাঙালিরা। বর্তমানে এই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষই বাঙালি।
ইংল্যান্ডের অধিকাংশ বাঙালিই থাকেন এই অঞ্চলে। সেখানে আগে থেকেই বহু দোকানের নাম রয়েছে বাংলা ভাষায়। দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নাম যাতে বাংলাতেও লেখা হয়। সেই দাবি মেনে বাংলা ভাষাকে সম্মান দেওয়ার জন্য সেখানকার স্টেশনের নামে বাংলা যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল লন্ডন প্রশাসন। এই স্টেশনের বিভিন্ন গেটের সাইনবোর্ডে বাংলা ভাষায় নাম লেখার পাশাপশি স্টেশনের প্রবেশপথেও বাংলা ভাষাতে লেখা রয়েছে, ‘হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে আপনাকে স্বাগত।’
তবে এখন সেই বিষয়টি নিয়েই ক্ষোভ জানিয়েছেন ব্রিটেনের আইনপ্রণেতা গ্রেট ইয়ারমাউথের এমপি রুপার্ট লোয়ি। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের ইংরেজি ও বাংলা নামের পাশাপাশি লাগানো দুটি সাইনবোর্ডের ছবি শেয়ার করেন তিনি। লিখেন, এটা লন্ডন। এখানে স্টেশনে নাম ইংরেজিতে থাকা উচিত, কেবলই ইংরেজিতেই। দ্য হিন্দুসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তার এই পোস্ট অল্প সময়ের মধ্যেই বিতর্কের ঝড় তোলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কেউ কেউ তাকে সমর্থন জানালেও অনেকে একাধিক ভাষায় সাইনবোর্ড রাখার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। অপরদিক সামাজিক মাধ্যম এক্স এবং টেসলার মালিক ইলন মাস্কও ‘ইয়েস’ লিখে লোয়ির দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।