Homeদেশের গণমাধ্যমেবাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিকর উন্নয়ন: যা করণীয়

বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিকর উন্নয়ন: যা করণীয়


অন্তর্ভুক্তিকর উন্নয়নের তৃতীয় স্তম্ভের ক্ষেত্রে বড় কথা হচ্ছে যে উন্নয়নপ্রক্রিয়ায় জনগণ শুধু নিষ্ক্রিয় সুফলভোগীর ভূমিকায় থাকতে পারে না, তাঁদের সক্রিয়ভাবে উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে হবে। এ–জাতীয় সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে মানুষের চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষা উন্নয়ন সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হবে। উন্নয়ন কর্মসূচি এবং উন্নয়ন প্রকল্পের প্রণয়নে জনতার কণ্ঠস্বর যাতে প্রাধান্য পায়, তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা দরকার। বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলার মতো স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসন জনগণের জন্য এমন সুযোগের ব্যবস্থা করতে পারে।

দ্বিতীয়ত: উন্নয়ন অর্থ ও সম্পদের ব্যয় নিরীক্ষণের জন্য জনগণ গণনিরীক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারে। এর দুটো সুবিধা আছে।

এক. এ–জাতীয় সতর্ক নিরীক্ষণের ফলে উন্নয়ন প্রশাসনের কার্যক্রমের দৃশ্যমানতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।

দুই. এ–জাতীয় নিরীক্ষণের মাধ্যমে উন্নয়ন ধারায় পরিবর্তন প্রয়োজন আছে কি না, তা যথাযথভাবে মূল্যায়িত হতে পারে।

তৃতীয়ত: উন্নয়ন নীতিমালা, কর্মসূচি এবং প্রকল্পের মূল্যায়নে জনগণের অংশগ্রহণ করা উচিত। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ দেশের উন্নয়নের গণমালিকানা নিশ্চিত করা যাবে, যে ভিন্ন বাংলাদেশের অর্জন ‘অগ্রগতি’ হিসেবেই বিবেচিত হবে, ‘উন্নয়ন’ হিসেবে নয়।

বাংলাদেশে একটি বৈষম্যহীন সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিকর উন্নয়ন অপরিহার্য। কারণ, চূড়ান্ত বিচারে, উন্নয়ন মানে হচ্ছে মানুষের উন্নয়ন, মানুষের জন্য উন্নয়ন ও মানুষের দ্বারা উন্নয়ন।

  • সেলিম জাহান ভূতপূর্ব পরিচালক, মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত