Homeদেশের গণমাধ্যমেবরেন্দ্র এলাকায় বোরো মৌসুমে সেচঘণ্টা নির্ধারণ, কৃষক শঙ্কায়

বরেন্দ্র এলাকায় বোরো মৌসুমে সেচঘণ্টা নির্ধারণ, কৃষক শঙ্কায়


বিএমডিএ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা, নওগাঁর নিয়ামতপুর, সাপাহার ও পোরশায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। বিএমডিএর ১ হাজার ৯৮০টি গভীর নলকূপের পানি দিয়ে বোরো ধান চাষ করা হয়। পাশাপাশি এই নলকূপগুলো থেকে ৪ লাখ ২১ হাজার ৮১৫ জন উপকারভোগী খাওয়ার পানি নিয়ে থাকেন। এ জন্য তাঁরা প্রতি মাসে পরিবারের ব্যবহার অনুযায়ী নির্ধারিত হারে পানির দাম পরিশোধ করে থাকেন। ৪৬৬টি গভীর নলকূপে ওভারহেড ট্যাংক রয়েছে। এগুলো থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে উপকারভোগীদের বাড়ির ট্যাপে পানি সরবরাহ করা হয়। আর বাকি নলকূপ থেকে কলসিতে করে উপকারভোগীরা পানি নিয়ে থাকেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার রাজশাহী জেলায় ৭০ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ৬৫ হেক্টর বেশি। তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় বেশি বোরো ধান চাষ হয়ে থাকে। গভীর নলকূপ চালানোর বিধিনিষেধের কারণে এসব অঞ্চলের কৃষকেরা উদ্বেগ জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, বিগত বোরো মৌসুমে একটি গভীর নলকূপ দিনে ২০–২২ ঘণ্টা চলেছে। আর এখন দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি চালানো যাবে না। এর মধ্যে খাওয়ার পানি সরবরাহ করতে চলে যাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। বাকি আট বা সাড়ে আট ঘণ্টার মধ্যে বোরো ধান ছাড়া অন্যান্য রবি ফসল-ভুট্টা, গম, শর্ষে, আমবাগান, পেয়ারাবাগান , মাল্টাবাগানে পাানি দিতে হবে। এক বিঘা জমিতে সেচ দিতে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। মার্চের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। শেষ সময়ে বৃষ্টি না হলে ১০ ঘণ্টায় তিন বিঘা জমিতে সেচ দেওয়াই কঠিন হয়ে যায়।



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত