Homeদেশের গণমাধ্যমেবন্দিশালায় ভয়াবহ নির্যাতন, হত্যার পর লাশ গুমের নানা কৌশল

বন্দিশালায় ভয়াবহ নির্যাতন, হত্যার পর লাশ গুমের নানা কৌশল


গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের মতো বেসামরিক বাহিনীগুলোর বন্দিশালায় নির্যাতন চালানো হতো নিয়মিত ভিত্তিতে। গুম কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে, নির্যাতনের ক্ষেত্রে এমন কিছু যন্ত্র–সরঞ্জাম ব্যবহার করা হতো, যেগুলো শুধু নির্যাতন চালানোর জন্য তৈরি। একই জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা নিয়মিত নির্যাতন চালাতেন।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের কথা থেকে জানা গেছে, বন্দিশালার কাছাকাছি অবস্থানে বসে অফিস করতেন কর্মকর্তারা। আশপাশে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা যন্ত্রণায় কাতরালেও শান্তভাবে কাজ করে যেতেন তাঁরা। এতে বোঝা যায়, এসব বিষয় এই কর্মকর্তাদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল।

তবে সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রিত বাহিনীগুলো যেমন র‍্যাব ও ডিজিএফআইয়ের গোপন বন্দিশালায় নির্যাতনের জন্য ছিল বিশেষ বন্দোবস্ত। এসব গোপন বন্দিশালা এমনভাবে তৈরি করা হতো, যেখানকার শব্দ বাইরে থেকে শোনা যেত না। নির্যাতনের জন্য বিশেষ যন্ত্র–সরঞ্জাম থাকত। শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালানোর জন্য বিশেষভাবে যন্ত্র–সরঞ্জাম তৈরি করা হতো।

কমিশন জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এসব গোপন বন্দিশালা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বন্দিশালা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। নির্যাতনের ধরন ও মাত্রা নিয়ে ধারণা দিতে দুটি ঘটনা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে অন্তর্বর্তী এ প্রতিবেদনে।  



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত