ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার প্রায় ১৩টি গ্রামে রোববার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন তারা।
শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সৌদি আরবে আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদের খোঁজ শুরু হয়। পরে রাতে চাঁদ দেখার খবর নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপরই ফরিদপুরে ১৩ গ্রামে ঈদের সিদ্ধান্ত হয়।
শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের সহস্রাইল, দড়ি সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, বারাংকুলা, বড়গাঁ, মাইটকুমড়া, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলী, কাটাগড়, কলিমাঝি, বন্ডপাশা, জয়দেবপুর ও দিঘীরপাড় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আগাম রোজা পালন শুরু করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তাই একদিন আগেই ওই গ্রামগুলোর অধিকাংশ লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা দিল্লুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা অনেক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি। এটা আমাদের ঐতিহ্য হয়ে গেছে। বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা আগাম রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল দায়রা ঘর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. সাইফুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, শেখর ও পার্শ্ববর্তী রুপাপাত ইউনিয়নের প্রায় ১৩টি গ্রামের আংশিক মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দুটি ঈদ উদযাপন করে আসছে। এটি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। সে অনুযায়ী রোববার আমরা ঈদ উদযাপন করবো।
এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/জেআইএম