এদিন প্রয়াত ফজলুল হক ও তাঁর সহধর্মিণী রাবেয়া খাতুনের স্মৃতিচারণা করেন তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী। তিনি মা–বাবার সঙ্গে কাটানো ছেলেবেলার নানা স্মৃতির কথা স্মরণ করেন। সেই সঙ্গে তাঁর বাবা ফজলুল হক জীবিত থাকা অবস্থায় যে সম্মাননা পাননি, তা নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া ইমপ্রেস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ফজলুল হক এবং রাবেয়া খাতুনের জামাতা মুকিত মজুমদার তাঁর শ্বশুরকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘খুব অল্প বয়স থেকেই ফজলুল হক সাহেবকে চিনতাম। তিনি আসলেই অন্য ধরনের মানুষ ছিলেন, তাঁর চিন্তাভাবনাও সময়ের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল। তিনি যেমনটা বন্ধসুলভ আচরণ করতেন সব বয়সী মানুষের সঙ্গে, ঠিক তেমনি তাঁর নতুন নতুন চিন্তাভাবনাও আমাদের আকর্ষণ করত।’
পুরস্কারটি প্রবর্তন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘সম্মুখপথের যাত্রী’ (দ্য ফ্রন্টিয়ারম্যান ফজলুল হক) প্রদর্শিত হয়। ষাটের দশকের শুরুতে ফজলুল হক ‘প্রেসিডেন্ট’ নামে একটি শিশুতোষ সিনেমা তৈরি করেছিলেন, যা পাকিস্তান আমলে পুরস্কৃতও হয়েছিল।
‘প্রেসিডেন্ট’ ছবিতে অভিনয় করে পুরস্কৃত হয়েছিলেন আজকের স্বনামধন্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর। পরে তিনি ‘উত্তরণ’ নামে আরও একটি সিনেমা পরিচালনা করেন। পত্রিকা সম্পাদনা বা চলচ্চিত্র পরিচালনা—কোনোটাতেই তিনি থেমে থাকেননি। পরে অন্যান্য ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এ দেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা ও চলচ্চিত্র নির্মাণের একেবারে সূচনা পর্বে ফজলুল হকের অবদান স্মরণীয়। তাঁর অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ‘ফজলুল হক স্মৃতি কমিটি’ প্রতিবছর একজন চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সেরা চলচ্চিত্র পরিচালককে পুরস্কৃত করে আসছে।