মাদারীপুর পৌরসভার দখল হওয়া শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘সৈয়দারবালী খাল’ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে পৌর প্রশাসন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মাদারীপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপ-সচিব মো. হাবিবুল আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
মাদারীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দারবালী এলাকার মাতুব্বর বাড়ি মসজিদ থেকে ঋষিবাড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার খালটির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভেঙ্গে ফেলা হয় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই সৈয়দারবালী খালটি প্রায় ৩০ বছর ধরে দখল হওয়ায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে একটু বৃষ্টি হলেই সৈদারবাবালী, পানিছত্র ও শকুনী এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে করে এসব এলাকার প্রায় ১০ হাজার পরিবার বর্ষা মৌসুমে পানিবন্দি হয়ে পরেন। চরমভাবে দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয়দের। এ অভিযোগের পর প্রশাসন থেকে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেবক মণ্ডল, মাদারীপুর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার আবু আহমদ ফিরোজ ইলিয়াস, মেডিকেল অফিসার ডা. হরষিত বিশ্বাস, নগর পরিকল্পনাবিদ আরাফাত জামানসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সুফিয়া বেগম, জাহানারা বেগম, আরিফা আক্তার, শহিদুলসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল খালটির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আবার প্রাণ ফিরে আনার। কারণ এই খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে যেত। এতে করে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তাই এই কার্যক্রমে আমরা অনেক খুশি।
মাদারীপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপ-সচিব মো. হাবিবুল আলম বলেন, শত বছরের এতিহ্যবাহী সৈয়দারবালী খালটি অবৈধভাবে দখল হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতে দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার মানুষ জলাবদ্ধ থাকতো। এজন্য খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/জেডএইচ/এমএস