পবিত্র রমজান মাসজুড়েই পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। তবে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের ছুটিতে সাগরকন্যাখ্যাত এ সমুদ্রসৈকতে লাখ লাখ ভ্রমণপিপাসু আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের বরণ করতে বর্ণিল সেজেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার এ এলাকা। এ জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন হোটেল-মোটেল, রিসোর্টসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় এরই মধ্যে অগ্রিম হোটেল বুকিং শুরু হয়েছে। এতে জনপ্রিয় এ পর্যটন এলাকায় প্রাণ ফিরছে। গতকাল শুক্রবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোর ৫০-৬০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্টেকহোল্ডার, ১৬টি পেশার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে বৈঠক হয়েছে। পর্যটকদের বরণে হোটেল-মোটেলগুলো সেজেছে রঙিন সাজে, সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে যাতায়াতের পথগুলো। রঙিন হচ্ছে প্রতিটি হোটেলের কক্ষ। প্রতিটি আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট নেমেছে পর্যটক আকর্ষণের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায়।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারণে পর্যটকদের চাপ হবে। এরই মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের সেবায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল কেএম জহির খান জানান, রমজান মাস পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। সেই সুযোগে
হোটেল-মোটেলগুলো পরিপাটি করে তাদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে।
এদিকে সৈকতে দীর্ঘদিন পর্যটক কম থাকায় পুরো সৈকতজুড়ে তৈরি হয়েছে ভিন্নতা। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য চমৎকার রূপে ডানা মেলেছে। কাছ থেকে প্রকৃতির এমন দৃশ্য এক নজর দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কুয়াকাটা আসবেন পর্যটকরা।
আবাসিক হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপক মো. রাসেল খান বলেন, আমাদের রিসোর্টে ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত বেশ বুকিংয়ের ফোন আসছে। এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ অগ্রিম বুকড হয়ে গেছে। আশা করছি বাকি দিনগুলোতে আমরা পুরোপুরি বুকিং পাব। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে এরই মধ্যে আমরা সুইমিংসহ হোটেলের বাড়তি সৌন্দর্যবর্ধন শেষ করেছি।
হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোতালেব শরীফ বলেন, আমরা পর্যটকদের সেবা দিতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কোনো পর্যটককে হয়রানি করা হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অ্যাডিশনাল ডিআইজি অনির্বাণ চাকমা বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে দায়িত্বে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে।