ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আমরা চাই এমন নির্বাচন, যে নির্বাচন সবাই গ্রহণ করবে। যে পরিমাণ সংস্কার হওয়ার দরকার সে পরিমাণ সংস্কার যদি না হয় তাহলে নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য হবে? নির্বাচন যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে সে নির্বাচনের ফায়দা কি? এজন্য আমরা চাই প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরই নির্বাচন দেওয়া হোক।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহম্মদ চুনকা পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা ও নগর যুব সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, আমরা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চাই না। জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এখন পর্যন্ত ভোটার হালনাগাদ করা সমাপ্ত হয় নাই; আসন বিন্যস্ত করা হয় নাই। এই মুহূর্তে হঠাৎ করে নির্বাচন দিলে আবারও পেশিশক্তি ব্যবহার করা হবে। টাকার ছড়াছড়ি হবে। এখন যারা নির্বাচনের জন্য বেশি বাড়াবাড়ি করছে তারা তো ঘুমের মধ্যে ছিল। পাঁচ বছর পরে নির্বাচনের কথা বলবে এজন্য। যাদের জীবনের বিনিময়ে নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছেন কমপক্ষে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা আমলা আছে তারা পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এজন্য সরকারের উচিত সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। যে এলাকায় অপরাধ ঘটবে সঙ্গে সঙ্গে সে এলাকার ওসিকে বরখাস্ত করে দেওয়া। যেখানে প্রতিনিয়ত ছিনতাই হচ্ছে সেই এলাকার ওসিকে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। যে এলাকায় দুর্নীতি হবে সে এলাকার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করে দিতে হবে। কঠোর হস্তে প্রশাসন চালাতে হবে।
জোট প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, ইসলাম দেশ মানবতার কল্যাণে যারাই আমাদের সঙ্গে জোট করতে চায় আমরা তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচন করতে চাই। আমরা সবার দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি যেন ইসলাম দেশ মানবতার কল্যাণে কাজ করে। আমরা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মাদ জোবায়ের হোসাইনের সভাপতিত্বে ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মাদ রবিউল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাছুম বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এএইচ/এএসএম