প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘নিরাপন’-এর প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে সাক্ষাৎকালে দলটির নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান সাইমন সুলতানা এবং স্বতন্ত্র পরিচালক তপন চৌধুরী। শীর্ষ পশ্চিমা ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরাও এসময় সঙ্গে ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
নিরাপন বাংলাদেশের তিন শতাধিক পোশাক কারখানার শ্রমিকের নিরাপত্তার উন্নয়নে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছে। শ্রমিকদের মানোন্নয়নে বিনিয়োগ, টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি এবং উন্নয়ন ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে সংস্থাটি বৈশ্বিক বিভিন্ন ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা ও এনজিওর সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করে।
বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা নিরাপন-এর নেতাদের জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘আমরা এরইমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আপনারা শিগগিরই পরিবর্তনগুলো দেখতে পাবেন,’ বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফী সিদ্দিকী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এরইমধ্যে শ্রমিক সংগঠন ও উৎপাদনকারীদের সঙ্গে ১৮টি দফা সম্বলিত একটি চুক্তি সই করেছে, যা এই খাতে স্থিতিশীলতা এনেছে এবং পোশাক রফতানি বাড়াতে সাহায্য করেছে।
সাইমন সুলতানা গার্মেন্টস শিল্পে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, কারখানাগুলো যেন শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধান করতে পারে, এ জন্য উদ্ভাবনী সরঞ্জাম বিকাশ এবং সরবরাহে নিরাপন এবং তাদের এদেশীয় অংশীদার ‘ব্র্যাক’ এবং ‘আমাদের কথা’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিরাও দেশে কারখানার নিরাপত্তার উন্নতিতে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও প্রধান লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।