পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠিত হওয়ার পর কিছু বিষয় জনপরিসরে বা পত্রপত্রিকায় বেশি আলোচিত হয়ে আসছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পুলিশে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে পেশাদারত্ব নিশ্চিত করা। এ বিষয়ে কমিশনের রিপোর্টের ৪ নম্বর সুপারিশে ‘প্রভাবমুক্ত’ পুলিশ কমিশন গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও কার প্রভাব থেকে পুলিশ কমিশন মুক্ত হবে, সেটা একেবারেই পরিষ্কার করা হয়নি।
বরং খসড়া প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ‘স্বাধীন’ পুলিশ কমিশনে জাতীয় সংসদের সরকারি দল ও বিরোধী দলের দুজন করে সদস্য থাকবেন। কেন তাঁরা থাকবেন, তাঁদের পদ বা দায়িত্ব কী হবে, কীভাবে তাহলে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে পুলিশের নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ১২ নম্বর সুপারিশেও কিছু বলা হয়নি। অথচ পুলিশের দুর্নীতি প্রতিকারে ৭ নম্বর সুপারিশে একটি ‘সর্বদলীয় কমিটি’র ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সর্বদলীয় দলে কারা কী প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হবেন, সে সম্পর্কে কোনো আলোচনা নেই।
আরও দুশ্চিন্তার বিষয় আছে। এই খসড়ায় পুলিশের বর্তমান পুরস্কারকাঠামোর (৭.৩) এবং পদায়ন ও পদোন্নতিতে ‘সততা ও নিষ্ঠা’র (৮.৩) সুনির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়নি। তাই প্রণোদনা ও উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন ও বিধিমালা অপব্যবহারের যে অভিযোগ রয়েছে, তা পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেই বর্তমান সুপারিশমালায়।