সম্প্রতি রাজধানীর মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে এক ব্যবসায়ীকে ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসী দল কুপিয়ে আহত করার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিপণিবিতানটির ৭০০ দোকানের ইন্টারনেট, পানি ও ময়লার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও নগদ চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় তারা হামলাটি চালিয়েছিল। এর পেছনে একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ১৪ জানুয়ারি প্রথম আলোর খবরের শিরোনাম ছিল ‘পেশাদার অপরাধীরা তৎপর, উদ্বেগ’। প্রতিবেদনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে পেশাদার অপরাধী সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, অভ্যুত্থানের পর যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার সুযোগ নিয়ে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পেয়ে যান। মুক্ত হওয়ার পর তাঁরা আবার বিভিন্ন এলাকার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডি, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, কাফরুল, পল্লবী, বাড্ডা, মহাখালী ও মতিঝিল এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়েছে। নিয়মিত চাঁদাবাজি, তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়, হুমকি-ধমকি দেওয়ার মতো অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নিয়ে খোদ পুলিশের নেতৃত্ব উদ্বিগ্ন।