লালবাগের পোস্তার আবুল হোসেন বলছিলেন, তিনি ৮০ জনের খাবার সরবরাহ করেন। তাঁর ক্রেতারা সবাই পোশাককর্মী। সপ্তাহে চার দিন মাছ ও দুই দিন মাংস দেন, ভাজি বা ডাল থাকেই। ভাত পরিমাণমতো। এক বেলা খাবারের দাম ৫০ টাকা। তিন বেলাই খাবার সরবরাহ করেন তিনি। ক্রেতাদের কাছ থেকে সপ্তাহ ভিত্তিতে টাকা নেন। জিনিসপত্র কেনা, তাঁদের নিজেদের বেতনসহ সব খরচ বাদে মাসে সাত–আট হাজার টাকা থাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে পুরান ঢাকার গ্রাহকদের খাবারের একটি অংশ আসে নদীর ওপার অর্থাৎ কেরানীগঞ্জ থেকে। প্রথম আলোর কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন বলেন, জিঞ্জিরা, বরিশুর, বোরহানীবাগ, টিনের মসজিদ, কালিন্দি, মান্দাইলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রলার আর খেয়ানৌকায় টিফিন বক্স নিয়ে চাঙারিওয়ালারা সোয়ারীঘাট, মিটফোর্ড ঘাট, ওয়াইজঘাট, সদরঘাটে পৌঁছে যান দুপুর ১২টা বাজতেই। একেকটি চাঙারিতে ৪০ থেকে ৫০টি টিফিন বক্স থাকে। ওজন হয় ৬০ থেকে ৮০ কেজি। চাঙারি নিয়ে কিছু পথ ভ্যানে, কিছু পথ মাথায় চাঙারিওয়ালারা ছোটেন চকবাজার, ইসলামপুর, মিটফোর্ড, বাবুবাজারে দোকানে, প্রতিষ্ঠানে। একজন ব্যবসায়ী বা দোকানকর্মীর কাছ থেকে একজন চাঙারিওয়ালা মাসে পান ৫০০ টাকার মতো।