অনুবাদ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ পেয়েছেন অধ্যাপক ও অনুবাদক জি এইচ হাবীব।
জি এইচ হাবীব অনুবাদের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন সেবা প্রকাশনী, রাশিয়ান রাদুগা ও প্রগতি পকাশনীর বই পড়ে। ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেবা প্রকাশনীর রহস্য পত্রিকায় তার প্রথম রূপান্তরিত অনুবাদ ‘জেগে তাই তো ভাবি’ প্রকাশিত হয়। তার প্রথম বই আর্থার কোনান ডয়েল এর রচিত দ্য সাইন অব ফোর-এর অনুবাদ যা ১৯৮৮ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়।
পুরস্কার প্রাপ্তিতে তার অনুভূতি কী জানতে চাইলে জি এইচ হাবীব বলেন— ‘ভালো লেগেছে। তবে সে সাথে অন্য যারা যোগ্য আছেন, এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হতে পারতেন, তাদের কথাও আমার মনে পড়ছে। তবে পুরস্কার প্রাপ্তি আমার জন্য নিশ্চয়ই আনন্দের। স্বীকৃতিও বটে।’
নতুন প্রজন্মের অনুবাদকের জন্য তার পরামর্শ জানতে চাইলে তিনি বলেন— ‘নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এটা বলতে চাই— কোনো কাজ পছন্দ হলে তারা যেন অনুবাদ করেন। শুধু অর্থপ্রাপ্তি বা নাম কুড়ানোর জন্য যেন অনুবাদকর্মে হাত না দেন। কারণ অনুবাদ একটি দায়িত্বপূর্ণ কাজ।’
জি এইচ হাবীবের জন্ম ১৯৬৭ সালে, ঢাকায়। তার পুরো নাম গোলাম হোসেন হাবীব। মিরপুরের শহীদ আবু তালেব উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছুকাল পাঠ গ্রহণের পর, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেষ করেন ইংরেজি সাহিত্যের পড়াশোনা। কর্মজীবন শুরু করেন সাংবাদিকতা দিয়ে। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন।
তার উল্লেখযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থ: গোলাপের নাম (উমবের্তো একো), নিঃসঙ্গতার একশ বছর (গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস), সোফির জগৎ (ইয়স্তাইন গোর্ডার), ফাউন্ডেশন (আইজাক আসিমভ), রচয়িতার মৃত্যু (রোলা বার্থ), ইংরেজি ভাষার ইতিহাস (ব্রিজিত ভাইনি), পরদেশী গল্প, বোমা আর সেনাপতি (উমবের্তো একো), উইলিয়াম শেক্সপিয়ার কে ছিলেন (রূপার্ট ক্রিস্টিয়ান্সেন, লাতিন ভাষার কথা (তরে ইয়নসন), কার্ল মার্ক্সের জীবন, তিন বোন (আন্তন চেখভ), অদৃশ্য নগর (ইতালো ক্যালভিনো), তাড়িখোর (আমোস তুতুওয়ালা), এলেম আমি কোথা থেকে (পিটার মাইল), ও একটি সুখী গাছের গল্প (শেল সিলভারস্টাইন) ইত্যাদি।