রংপুরের পীরগঞ্জে মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামির বসতবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে এদিন সকালে শিশু সায়মার লাশ উদ্ধারের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত আতিকুল ইসলাম (৩৫) পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়ার বাসিন্দা।
পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার মোকলেছুর রহমান বলেন, সকালে বড় বদনাপাড়ায় আগুনের খবর পাই। সেখানে গিয়ে দেখি টিনশেড তিন-চারটি ঘরে আগুন জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।
জানা গেছে, দেলোয়ারা বেগম নামের এক নারী ও তার চার বছরের মেয়ে সায়মা বেগম হত্যায় আতিকুল জড়িত। দেলোয়ারা বেগমকে হত্যার অভিযোগে আতিকুলকে শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে করতোয়া নদীর ধারে কাদামাটি চাপা দিয়ে রাখা দেলোয়ারার বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুল স্বীকার করেন, মাস দেড়েক আগে সায়মাকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে তার বাড়ির পাশে পুঁতে রেখেছেন। সকালে সেখান থেকে শিশুটির পচে যাওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, আতিকুল ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার ওই নারীর মাথা উদ্ধার করা হয়। রাতে জিজ্ঞাসাবাদে দোলোয়ারা বেগমের শিশুকন্যাকে দেড় মাস আগে হত্যা করে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেন তিনি। আজ আতিকুলের বাড়ির পাশের সুপারি বাগান থেকে শিশু সায়মার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুনেছি বিক্ষুব্ধ জনতা আতিকুল ইসলামের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। আদালতে একটা শুনানিতে আছি, ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি।