আজ অভিযোগ দাখিলের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের আইনজীবী তাসমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পিলখানার ঘটনার সময় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে যে বর্বরভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গণহত্যার সামঞ্জস্যতা পাওয়া গেছে। তৎকালীন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর দোসররা রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সংকটের মুখে ফেলতে এবং স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িত করতে দুটি বড় আর শক্তিশালী বাহিনীকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে এ গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন।
এ আইনজীবী বলেন, সেনা কর্মকর্তাদের খুন করা হয়েছে। তাঁদের লাশে আগুন দেওয়া হয়েছে। বেয়নেট নিয়ে খুঁচিয়ে লাশ ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। যা গণহত্যা হিসেবেও পরিগণিত হবে।
৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে জানিয়ে তাসমিরুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিক, সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ, আইনমন্ত্রী এবং তখনকার বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান এবং যাঁরা এ হত্যাকাণ্ড এড়াতে পারতেন; কিন্তু করেননি এমন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।