নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন ছাত্র সংগঠন পিসিপি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় এনসিটিবি ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), কেন্দ্রীয় কমিটি তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্বেষ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মোতাবেক বেলা ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিল নিয়ে এনসিটিবি কার্যালয়ে অভিমুখে যাওয়ার সময় পুলিশের উপস্থিতিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামের একটি সংগঠন ক্রিকেট স্ট্যাম্প, চাপাতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ১৭ জন আহত হন। এর মধ্যে অনন্ত বিকাশ ধামাই, যুব ফোরামের সহসভাপতি টনি চিরান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি রেং ইয় ম্রো, সাংবাদিক জুয়েল মারাক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা, বাগাছাসের ছাত্র নেতা ডন যেত্রা গুরুতর আহত হন। হামলায় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল। হামলাকারীদের প্রতিহত করার কোনও ধরনের তৎপরতা দেখায়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন মনে করে, এই হামলা পরিকল্পিত। উগ্র মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সংগঠন ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ মূলত আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বানচাল করার জন্য এ হামলা করেছে। এর দায় অন্তর্বর্তীকালীন কোনোভাবে এড়াতে পারে না। মূলত সরকারের দ্বিধাগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় পলিসির কারণে আদিবাসীদের মিছিলে হামলা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
একইসঙ্গে বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবিলম্বে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি পুনর্বহাল, পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সঠিক ইতিহাস ও পরিচিতি তুলে ধরাসহ সাংবিধানিকভাবে আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।