ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও ছেড়ে কথা বলছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। কদিন আগেই ২৭ দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোটকে ট্রাম্প এই বলে একহাত নিয়েছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিতই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে ফেলার জন্য। তাদের ওপরও ২৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে। সরকারি ঘোষণা হবে শিগগিরই, যার পাল্টা হিসেবে কড়া ভাষায় ট্রাম্পকে সাবধানবাণী শুনিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ধরনের অন্যায্য কোনো পদক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুসারে, এই বাণিজ্যযুদ্ধ রোধের কফিনে সম্ভবত শেষ পেরেক পোঁতা হবে আগামী ২ এপ্রিল। কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, সেদিন থেকে গাড়ি-সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ওষুধসহ সব ক্ষেত্রে পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে। অর্থাৎ যে দেশ মার্কিন পণ্যে যতটা শুল্ক আরোপ করে, সেই দেশের পণ্যে ততটাই শুল্ক আরোপ করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুল্কযুদ্ধ শুরু হলো। ইতিমধ্যে বিশ্বের আর্থিক বাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আবার মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের যেমন ক্ষতি হবে, তেমনই দুর্বল হবে বিশ্ব অর্থনীতির ভিত। কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশ আবারও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে পড়তে পারে। বন্ধ হতে পারে নীতি সুদ কমানোর পথ। ধাক্কা খেতে পারে আর্থিক বৃদ্ধি।