আমিরুল রাজিব: যেকোনো পরিবেশগত বিপর্যয়ে সবচেয়ে ভুক্তভোগী হয় স্থানীয় মানুষ। কারণ, বাসস্থান মানেই শুধু কিছু ভবন বা অবকাঠামো নয়। গাছ, পাখি, পানি, নদী, বাতাস—সবকিছু মিলেই মানুষ একটি এলাকায় বাস করে। আমরা সামগ্রিকভাবে এই সব কটি উপাদানকে রক্ষা করার কথা বলছি। ফলে আলাদাভাবে শুধু গাছ রক্ষা অথবা মাঠ রক্ষার কথা অনেক পরিবেশ নামধারী সংগঠন এবং বৈদেশিক সহায়তানির্ভর সংস্থা বললেও আমরা তা বলছি না। আমরা বলছি, একটি পাখির জন্য হলেও পার্কটিকে রক্ষা করতে হবে এবং এটা সম্ভব। নাগরিকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই এটা করা উচিত। আমরা সে ধরনের একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, বাংলাদেশের পরিবেশ আন্দোলনের বড় সীমাবদ্ধতা হলো সংগঠন ও দাতা সংস্থানির্ভরতা এবং এসব আন্দোলনের পেছনে পরিবেশের কথা বলে নানা প্রকল্প-বাণিজ্য হতে দেখা যায়। এতে আমরা নির্দিষ্টভাবে কিছু ব্যক্তির ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল হতে দেখেছি। যে কারণে আমরা এ আন্দোলনে এসব পরিবেশ ব্যবসায়ীরও মুখোশ খুলে যেতে দেখছি। তাঁরা গণমাধ্যমে এ আন্দোলন নিয়ে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন। আমরা মনে করি, এই আন্দোলন বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষায় নতুন একটি ধরনকে প্রতিষ্ঠা করবে। গণমাধ্যমেরও দায়িত্ব রয়েছে ব্যবসায়িকভাবে পরিবেশ ধ্বংসের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পরিবেশ সংরক্ষণের দাবিতে মাঠে নামলে তাঁদের প্রশ্ন করা এবং তাঁদের বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান চালানো। সেটা না হলে গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠবে।