রাজধানীর কারওয়ান বাজার সংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে একদল পরিবেশপ্রেমী ও স্থানীয়রা।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর পান্থকুঞ্জ পার্কের মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের পাশেই এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশের পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’।
মানববন্ধনে পান্থকুঞ্জ পার্ক এবং হাতিরঝিল ধ্বংস করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে (মেট্রো পিলার ৪৮৪) পান্থকুঞ্জ পার্ক এবং হাতিরঝিল ধ্বংস করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ করতে হবে। রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প শুরু থেকেই অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, পান্থকুঞ্জ পার্ক একসময় খুব জনপ্রিয় ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এই পার্কে ঘুরতে আসতেন। কিন্তু বর্তমানে এই পার্ক অস্বস্তির নাম হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য পার্কের অনেক গাছ কাটা হয়েছে। এখন র্যাম্প নামার জন্য কাটা হবে আরও কিছু গাছ। মেগা প্রজেক্টের নাম দিয়ে সবুজ ও উন্মুক্ত স্থানের অভাবে রুদ্ধশ্বাস ঢাকায় এমন ঘটনা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, এই ধরনের প্রকল্প আধুনিক নগর পরিকল্পনার সঙ্গে বেমানান। অথচ এক্সপ্রেসওয়ের জন্য এই নতুন সংযোগ সড়কের চিন্তা পান্থকুঞ্জ পার্কটি ধ্বংস করছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব শহরে ১৫ শতাংশ সবুজ এলাকা, ১০-১২ শতাংশ জলভাগ রাখতে হবে। যেখানে সরকার ৩০ সাল নাগাদ ১৫ শতাংশ এবং ১০ শতাংশে ফিরে যেতে চায়, সেখানে যদি এসব ধ্বংসের কর্মকাণ্ড চলে তাহলে কীভাবে আমরা ফিরে যাব।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব, সহ-সমন্বয়ক নয়ন সরকারসহ পরিবেশপ্রেমী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।