কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১৯:২২, ১২ এপ্রিল ২০২৫
পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে এবার রেকর্ড ৯ কোটিরও বেশি টাকা পাওয়া গেছে
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে এবার রেকর্ড ৯ কোটিরও বেশি টাকা পাওয়া গেছে। দেশি টাকার পাশাপাশি সেখানে স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রাও পাওয়া গেছে। শনিবার (১২ এপ্রিলি) সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টা এই টাকা গণনা করা হয়।
সন্ধ্যায় পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল ৭টায় মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় দানবাক্সগুলো খুলে টাকা বস্তায় ভরে মসজিদের দুই তলায় নিয়ে গণনার কাজ শুরু হয়। এতে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে।
এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। যা ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা ছিল। এবার ৪ মাস ১১ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হলো। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে এবার দানবাক্স খুলতে দেরি হয়েছে।
দানবাক্স খোলার সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সেনা সদস্য, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াইশত শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে চারশত লোক টাকা গণনার কাজ করেছেন।
কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা চরে এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধক বসবাস করতেন। ওই পাগল সাধকের মৃত্যুর পর এখানে নির্মিত মসজিদটি পাগলা মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পায়। পাগলা মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়; এমন ধারণা থেকে অসংখ্য মানুষ এ মসজিদে দান করে থাকেন। গত কয়েক বছর ধরে টাকার পরিমাণ বাড়ছে।
ঢাকা/রুমন/বকুল