খোলা পড়ে আছে চিনির সিরা। সিরায় পড়ে আছে মাছি, মশা ও পোকামাকড়। দেয়ালের আস্তর খসে পড়ছে। এরমাঝেই তৈরি হচ্ছে নানান ধরনের মিষ্টান্ন। পরে সেগুলো শহরের বিভিন্ন নামিদামি হোটেল-রেস্তোরা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মোড়কে চলে যাচ্ছিল গন্তব্যে। এমন মিষ্টির কারখানার সন্ধান মিলেছে কুমিল্লার বিসিক শিল্পনগরীতে। ওই প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স এস এস ফুড।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্ট অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির নানান অপকর্ম প্রকাশ্যে আসে। পরে তাদের দুইটি মামলায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে প্রশাসন। এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএসটিআই কুমিল্লার উপপরিচালক (সিএম) কে এম হানিফ।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সুইটমিট (কালোজাম, চমচম, রসমালাই) পণ্য উৎপাদন করছিল। তারা বিএসটিআই গুণগতমান যাচাই করেনি এবং মান সনদও গ্রহণ করেনি। এসব অপরাধে এবং বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে মেসার্স এস এস ফুড-কে ৮০ হাজার টাকা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী ৭০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৫০ হাজার অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী তমাল সাহা (৩২) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অপরাধ স্বীকার করেন। এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার প্রদান করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল নূর আশেক। মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউটর ছিলেন বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের ফিল্ড অফিসার (সিএম) ইকবাল আহাম্মদ। উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন ফিল্ড অফিসার (সিএম) মো. আমিনুল ইসলাম শাকিল। জনস্বার্থে এ ধরনের মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে।