জেসমিনের বাবা নেই। মা তার একমাত্র অভিভাবক। নানা রকমের পারিবারিক বাধা ও আর্থিক অসচ্ছলতা—এসবের কিছুই তাকে মানসিকভাবে দমাতে পারেনি। অদম্য জেসমিনের বড় হয়ে একজন আদর্শ শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছা। শিক্ষকতা পেশায় কেন যেতে চায়, জানতে চাইলে জেসমিন বলে, শিক্ষকদের সে অনেক সম্মান করে। সে বড় হয়ে তার মতোই সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে চায়। যেন কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের শুরুতে বা মাঝপথে পড়াশোনা থেকে ঝরে পড়তে না হয়।
মেয়ের বাল্যবিবাহের আয়োজনের বিষয়ে মা কনা খাতুন বলেন, ‘ওইটা ছিল আমার জীবনে বড় একটা ভুল। বলতে পারেন একটা অ্যাক্সিডেন্ট। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আমার মেয়ে ক্লাসে ফার্স্ট হয়েছে। এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমি এই অভাবের সংসারে ৫০০ টাকার মিষ্টি কিনে এনে এলাকাবাসীকে খাইয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মেয়ের মা, আর আপনারা মানে আলোর পাঠশালার শিক্ষকেরা হচ্ছেন তার দ্বিতীয় মা–বাবা। আপনারা আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। আর আমার পরিবারের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন, এটাই আপনাদের কাছ থেকে আমার চাওয়া।’