নাজমুলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাওয়ার কারণ মূলত তিনটি হলেও দৃশ্যমান কারণ এখন পর্যন্ত দুটি। বিসিবির কর্মকর্তাদের জানানো তাঁর সেই দুটি কারণের প্রথমটি ‘ব্যক্তিগত’। অর্থাৎ, ‘ব্যক্তিগত’ কারণে তিনি আর অধিনায়কত্ব করতে চান না। ‘ব্যক্তিগত’ কারণটা কী, সেটি কাউকে ব্যাখ্যা করেননি নাজমুল। অন্য আরেকটি কারণের কথাও বলেছেন বিসিবির এক পরিচালককে, যেটি অনুমান করে নিতে পারেন যে কেউই। নাজমুল বলেছেন, তাঁর ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছে না। তিনি চান নেতৃত্ব ছেড়ে ব্যাটিংয়ে আরও বেশি মনোযোগ দিতে।
অধিনায়ক হওয়ার পর নাজমুলের ব্যাটিং পরিসংখ্যান অবশ্য দুই রকম কথাই বলে। অধিনায়কের ভূমিকায় টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় (২৫.৭৬) ক্যারিয়ার গড়ের (২৮.৬৮) চেয়ে কম হলেও ওয়ানডেতে উল্টো চিত্র। ক্যারিয়ার গড় ৩৩.২৯ হলেও সেখানে অধিনায়ক হিসেবে গড় ৫২। আর টি–টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার গড় ২২.৮৫ ও অধিনায়ক হিসেবে ১৮.৭৬।
ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে চাওয়াটাকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার একটি কারণ বললেও নাজমুল নিজে অধিনায়কত্ব তাঁর ব্যাটিংয়ে কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন, সেটি নিয়ে প্রশ্ন থাকেই। কারণ, জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ‘এ’ দল, এইচপি এবং অন্যান্য পর্যায়ের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনিই বলেছিলেন, ‘আমার ওপর এটা (অধিনায়কত্ব) কোনো চাপ নয়। আমি যখন ব্যাটিং করি, তখন আমার কিন্তু মনে থাকে না আমি অধিনায়ক।’