এইচএমপিভি প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে। দুই বা তার বেশি মানুষের মধ্যে সরাসরি সংযোগের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। এ ছাড়া সংক্রমিত কোথায় স্পর্শ করলে, তা থেকেও ভাইরাসটি ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।
এইচএমপিভির কারণে শ্বাসতন্ত্রের উপরের অংশে মাঝারি ধরনের সংক্রমণ হয়। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণকে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ থেকে আলাদা করা যায় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে সর্দি–কাশি ও জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
সিঙ্গাপুরের সংক্রামক রোগের চিকিৎসক সু লি ইয়াং বলেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছে দুই বছরের কম বয়সসহ ছোট শিশুরা। এ ছাড়া বৃদ্ধসহ যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাঁদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ঝুঁকিতে রয়েছে ক্যানসারের আক্রান্ত রোগীরাও।
সু লি ইয়াং বলেন, আক্রান্ত হলে দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে ‘ছোট তবে উল্লেখযোগ্য’ অংশ গুরুতর শারীরিক সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। তাঁদের ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে, ঘ্রাণ চলে যেতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ‘ক্রুপ’ কাশি হতে পারে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা লাগতে পারে। তবে মৃত্যুর ঝুঁকি খুবই কম।