Homeদেশের গণমাধ্যমেনতুন বছর উদযাপনে কোন দেশে কেমন খাবার পরিবেশনের রীতি

নতুন বছর উদযাপনে কোন দেশে কেমন খাবার পরিবেশনের রীতি


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাঁকজমক আয়োজনে উদযাপিত হয় খ্রিষ্টীয় নববর্ষ। নিউ ইয়ার ইভের পার্টিতে থাকে হরেক রকম খাবারের আয়োজন। নতুন বছরের প্রথম দিনের প্রীতিভোজেও থাকে ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারের আয়োজন। মজার সব রেওয়াজ ও প্রচলিত বিশ্বাস মেনে নতুন বছরে সৌভাগ্য আনতে এসব খাবার পরিবেশন করা হয়। জেনে নিন কোন দেশ কোন খাবার খেয়ে শুরু করে নতুন বছর। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 
নতুন বছরের প্রথম দিনে ব্ল্যাক আইড পিজ নামের একধরনের বিনস বা ডালজাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন আমেরিকানরা। আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় তাদের ইউনিয়ন সৈন্যরা এ বিনস খেয়ে দিনাতিপাত করেছেন বলে বিশ্বাস করে তারা। নতুন বছরের প্রথম দিন ব্ল্যাক আইড পিজের সাথে স্মোকড মিট এবং রাইস দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী খাবার হপিন জন পরিবেশন করা হয়। মনে করা হয়, এই খাবার নতুন বছরে সবার জন্য সাফল্য, সচ্ছলতা, উন্নতি নিয়ে আসবে। আবার ভাঁজ করা টাকার আদলে সাজানো কলার্ড অথবা শর্ষের শাক থাকে আমেরিকানদের নৈশভোজের টেবিলে। নতুন বছরে সম্পদের প্রাচুর্য আসার প্রার্থনাতেই এই খাবারের সাথে শুরু হয় তাদের নতুন বছর। সেই সঙ্গে তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, জীবনে উন্নতির প্রতীক শূকরের মাংস আর সোনালি রঙের কর্ন ব্রেড বা ভুট্টার আটা দিয়ে বানানো রুটি খেয়ে সবাই প্রার্থনা করেন নতুন বছরের সোনালি দিনের আশা। 

মেক্সিকো
কলাপাতায় মোড়া এক বিশেষ ধরনের খাবার খেয়ে মেক্সিকোতে শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসব। ‘টামালেস’ নামের এই খাবারে থাকে কর্ন, মাংস, পনিরসহ আরও কিছু আইটেম। এক ধরনের স্যুপের সঙ্গে পরিবেশন করা হয় এই খাবার। মেক্সিকোর নববর্ষ উদযাপনের আরেকটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে রোসকা ডি রেস নামের এক ধরনের কেক বা রুটি। এতে বিভিন্ন ফলের মোরব্বা, গুঁড়া করা চিনি ও কিশমিশ দেওয়া থাকে। 

ইতালি
ইতালিতে মসুর ডালকে বলা হয় সৌভাগ্যের খাবার। এখানে মিষ্টি আলু ও ডালের স্টু পরিবেশন করা হয় থার্টি ফাস্টের ডিনারে। এছাড়া কোটেচিনো নামের এক ধরনের সুস্বাদু সসেজ মসুর ডালের সাথে পরিবেশন করা হয়। 

জাপান
জাপানের নিউ ইয়ার পার্টিতে যে খাবারটি অবশ্যই থাকে তার নাম হচ্ছে ‘সোবা নুডলস।’ জাপানি ঐতিহ্য অনুযায়ী এই খাবারকে বছর শেষের বিশেষ খাবারও বলা হয়। লম্বা সোবা নুডলস খেয়ে লম্বা ও সুখী জীবনের প্রত্যাশা জানানো হয়। 

গ্রীস
গ্রীক নববর্ষে ভাসিলোপিটা নামের এক ধরনের কেক পরিবেশন করা হয়। কেকটি শুধুমাত্র সুস্বাদু নয়, এটি একটি বিশেষ ঐতিহ্যও বহন করে। নতুন বছরের জন্য তৈরি করা কেকের মধ্যে একটি মুদ্রা লুকানো থাকে এবং যে ব্যক্তি এটি খুঁজে পায় তার জন্য বছরটি অত্যন্ত সৌভাগ্যের হয় এটি বিশ্বাস করা হয়। 

ভাসিলোপিটা। ছবি- সংগৃহীত

কোরিয়া
কোরিয়ায় চালের গুঁড়া দিয়ে ভাপে বানানো হয় রাইস কেক। এই রাইস কেক মাংস, ডিম, সামুদ্রিক শেওলা ও সবজি দিয়ে বানানো সুস্বাদু তেওকগুক স্যুপ নববর্ষের দিন পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়াটাই কোরীয় রীতি। 

জার্মানি 
চিনি ও বাদাম দিয়ে তৈরি ‘সুগার পিগস’ খেয়ে নতুন বছরকে বরণ করে জার্মানির অধিবাসীরা।

স্পেন
স্পেনে বারোটি আঙুর খেয়ে নতুন বছর শুরু করার ঐতিহ্য রয়েছে। থার্টি ফার্স্টে টাইম স্কয়ারের সামনে বিশাল জনসমাগম হয়। রাত ঠিক বারোটার সময় ১২ বার ঘড়ির ঘণ্টাধ্বনি শোনা যায়। প্রতিটি ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে একটি করে আঙুর খেয়ে নতুন বছর শুরু করে স্পেনের নাগরিকরা। 

আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার খাদ্যতালিকায় এমনিতেও বিনস বা বিভিন্ন ডালজাতীয় খাবারের প্রাধান্য রয়েছে। অর্থকরী রবিশস্য হিসেবে আর্জেন্টাইন সমাজে তাই বিনসের আছে আলাদা কদর। নববর্ষের দিনে আর্জেন্টিনার সবাই বিনসজাতীয় খাবার শখ করে খান। তারা বিশ্বাস করেন, এতে তাদের জীবন ও জীবিকায় উন্নতি ও প্রাচুর্য আসবে। 





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত