মেলায় মিষ্টির দোকানেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এসব মিষ্টি। এ ছাড়া সেখানে বসেছে দই, চিড়া, মুড়ি, মুড়কি, কদমা, বাতাসা, নিমকি, মিঠাই-মিষ্টান্ন, জিলাপিসহ হরেক দোকান।
মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি বাদশা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, শত বছর ধরে এ মেলা ঐতিহ্যের জৌলুশ ছড়ালেও কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য সারোয়ার হোসেন ইজারা না পেয়ে রামনগর গ্রামে আলাদাভাবে মেলা বসিয়েছেন। এতে ঐতিহ্যের ব্যাঘাত ঘটলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তবে ভিন্ন কথা জানান কালেরপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সারোয়ার হোসেন। তিনি অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, প্রতিবছর সমঝোতার ভিত্তিতে মেলার আয়োজন করা হয়। চলতি বছর প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তুলনামূলক কম টাকায় মেলার ইজারা দেওয়া হয়েছে। বাধ্য হয়েই রামনগর গ্রামে পৃথক মেলা বসানো হয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সাইদুল আলম জানান, প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে বসেছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বকচরের মেলা। অন্য কোথাও মেলার আয়োজন আইনগতভাবে বৈধ নয়।