প্রবীর মিত্রর মতো একই ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন আরেক অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান। তিনি ২০২১ সালে মারা যান। এই অভিনেতা অসুস্থ হয়ে প্রতীক্ষায় ছিলেন সুস্থ হয়ে আবার অভিনয়ে ফেরার। প্রবীর মিত্রর মতো তাঁরও শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়নি। এই দুই অভিনেতা ছিলেন দীর্ঘদিনের বন্ধু। দুই পরিবারের তথ্যে জানা গিয়েছিল, জীবনের শেষ সময়ে তাঁদের দুজনেরই বয়সটা অভিনয়ের জন্য অতটা জুতসই ছিল না। উভয়ের মনের জোর ছিল প্রবল। অদম্য অভিনয়ের প্রতি টান থেকে দেশের গুণী দুই অভিনয়শিল্পী জানিয়েছিলেন, সুযোগ পেলে জীবনের সবচেয়ে দামি সময় কাটানো সেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনে মুখর হতে চান তাঁরা।
২০২০ সালের শেষের দিকে। তখন এ টি এম শামসুজ্জামান বেঁচে ছিলেন। সেই সময় নিয়মিত জনপ্রিয় এই অভিনেতার খোঁজ নিতে তাঁর স্ত্রী রুনি জামানের সঙ্গে কথা হতো এই প্রতিবেদকের। স্বামী কিছুটা সুস্থ হলে রুনি জামান বলেছিলেন, ‘প্রায় তিন মাস ধরে তাঁর (এ টি এম শামসুজ্জামান) শারীরিক অবস্থা ভালো। এখন বাড়িতে বই পড়েই বেশির ভাগ সময় কাটে। তবে অভিনয়ের নেশা এখনো তাঁর মাথা থেকে যায়নি। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অভিনয় করতে চাচ্ছেন। কোনো নির্মাতা যদি বাসা থেকে নিজ দায়িত্বে নিয়ে যান এবং যথেষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, তাহলে তিনি অভিনয় করবেন।’ সেবার টানা দেড় মাস চিকিৎসা নিতে হয়েছিল এই অভিনেতাকে। কিছুটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেই তিনি স্ত্রীকে মনের কথা জানিয়েছিলেন।