শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘খুনি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বাংলাদেশে যে দু-তিনটি জেলায় রণক্ষেত্র হয়েছিল, যে দু-তিনটি জেলার ছাত্র-জনতা বুক পেতে দিয়ে, রক্ত দিয়ে, সবার সামনে থেকে এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে, তার একটি জেলা হলো গাজীপুর। এই অভ্যুত্থানে যারা সহযোদ্ধা, তারা তখনো জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল, এখনো জীবন দিতে প্রস্তুত আছে। কিন্তু ওই খুনি হাসিনা, খুনি জাহাঙ্গীরের দোসররা এই গাজীপুরে যদি আবার উৎপাত করতে চায়, ছাত্র-জনতা তাদের আর ছাড় দেবে না।’
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি মাঠে জাতীয় নাগরিক কমিটির গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ছাত্ররা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক আলী নাসের খান বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে দ্রুত বিচার আইনে ফ্যাসিবাদীদের বিচার করতে হবে। তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পদ জব্দ করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এম সোয়েব, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, টঙ্গী পশ্চিম থানা প্রতিনিধি নাবিল ইউসুফ প্রমুখ।