Homeদেশের গণমাধ্যমেদক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড


একের পর এক উইকেট পড়ছে, ডাগআউটে লরা উলভার্টের চেহারায় বিষণ্নতা আরও তীব্র হয়ে উঠছে। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক তখন আরেকটি হৃদয় ভাঙার কষ্টকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত। টানা দ্বিতীয়বার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হলো আফ্রিকানদের। ওদিকে সোফি ডিভাইন আনন্দের আতিশায্যে ভাসছেন, তার সঙ্গে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সুজি বেটস ও অ্যামেলিয়া কার অশ্রুসিক্ত হয়ে সতীর্থদের আলিঙ্গন করছেন। এই অশ্রু আনন্দের। দুইবার ফাইনালে হারের কষ্ট ভুলে প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো নিউজিল্যান্ড। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তাদের এই সাফল্যকে রাঙিয়ে দিলো বর্ণিল আতশবাজির ঝলকানি।

পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নারীদের টুর্নামেন্টেও হৃদয় ভাঙলো দক্ষিণ আফ্রিকার। টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে হয়তো তারা নিউজিল্যান্ডের কষ্ট বুঝতে পারলো। ২০০৯ ও ২০১০ সালের প্রথম দুই আসরেই রানার্সআপ হয়েছিল নিউজিল্যান্ডাররা। রবিবার সেই আক্ষেপ ঘুচালো তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩২ রানে হারিয়ে। ২০ অক্টোবর, ২০২৪- এই দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে নিউজিল্যান্ডের জন্য। সকালে বেঙ্গালুরুতে ৩৬ বছর পর ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার টেস্ট জিতেছে তাদের পুরুষ দল, রাতে বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলেন মেয়েরা।

টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। শুরু থেকে আগ্রাসী ছিল হোয়াইট ফার্নরা। প্রথম ১১ বলে ১৬ রান তুলে ওপেনিং জুটি ভাঙে তাদের। জর্জিয়া প্লিমার (৯) থামেন দুটি চার মেরে।

পাওয়ার প্লেতে এই আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি গড়ে নিউজিল্যান্ড। ১ উইকেটে করে ৪৩ রান। সুজি অষ্টম ওভারে ৩১ বলে ৩২ রান করে থামেন। ডিভাইন (৬) ছোট ইনিংস খেলে বিদায় হন।

কার ও ব্রুক হালিডে জুটি বেঁধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন। তাদের ৫৭ রানের জুটিতে বড় স্কোরের আভাস দেয় নিউজিল্যান্ড। ২৮ বলে ৩৮ রান করে আউট হন হালিডে। শেষের আগের ওভারে মাঠ ছাড়েন কার, ৩৮ বলে করেন ইনিংস সেরা ৪৩ রান। ম্যাডি গ্রিনের এক ছক্কায় করা ১২ রানে হোয়াইট ফার্নরা দেড়শ পার করে। ৫ উইকেটে তারা করে ১৫৮ রান, বিশ্বকাপের ফাইনালে এটা কোনও দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ননকুলুলেকো ম্লাবা সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।

লক্ষ্যে নেমে ওপেনিং জুটিতে পঞ্চাশ পার করে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৫১ রানে তাজনিম ব্রিটস (১৭) ফেরেন। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে। দশম ওভারে কার জোড়া আঘাত করেন। আর দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যপ্রান্ত থেকে রোসমেরি মায়ার বল হাতে নৈপুণ্য দেখান। তাতে ৯ উইকেটে ১২৬ রানে থামে প্রোটিয়ারা।

কার ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। সমান উইকেট পান মায়ারও। তবে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন কার।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত