সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
যদিও বুধবার সন্ধ্যায় কুয়েটের সহকারী রেজিস্ট্রার (লিগ্যাল) মো. সাইফুর রহমান বাদী হয়ে খানজাহান আলী ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
এদিকে কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রদের পাঁচটি দফা মানলেও ছাত্ররা ভিসি ও প্রো ভিসির অপসারণ দাবি করে আন্দোলন অব্যাহত রেখে হলে অবস্থান করছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সকালে সন্ত্রাসীদের লালকার্ড প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা ভিসি, প্রোভিসিকে বর্জন করেছি। তারা শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেননি। আমরাই বর্জন করেছি। আমরা হল ত্যাগ করব না, হলেই থাকব। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম জানান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম এম এ হাসেমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মো. আরিফুর রহমান/আরএইচ/জেআইএম