গোকুন্ডার আফজাল নগরের আক্তারুজ্জামান ১৬ বছর আগে তিস্তার ভাঙনে ৭০ শতক জমি হারিয়েছেন। সোলেমান আলীর মতো শহিজল, আক্তারুজ্জামানেরা তিস্তায় বাড়িঘর হারিয়ে ভূমিহীন। তাঁদের সবার গল্প প্রায় অভিন্ন। সব হারিয়ে তাঁরা তিস্তা বাঁচানোর আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব (দুলু) বলেন, ‘তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। অথচ প্রতিবেশী ভারত একতরফাভাবে নদীর পানি দিচ্ছে না। আমরা তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। বৃহত্তর রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তাপারের মানুষেরা নিজেদের বাঁচাতে এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন।’
গতকাল সোমবার বিকেলে লালমনিরহাট সদরের গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা সেতু ও তিস্তা রেলসেতুর মধ্যবর্তী স্থানে কর্মসূচির মূল মঞ্চে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান (দুদু), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সংগীতশিল্পী বেবি নাজনীন প্রমুখ।