Homeদেশের গণমাধ্যমেতাবলিগের বিরোধে তৃতীয় পক্ষ?

তাবলিগের বিরোধে তৃতীয় পক্ষ?


দেশে তাবলিগ জামাতের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুপক্ষের বিরোধিতার মাঝে তৃতীয় একটি পক্ষ কাজ করছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাবলিগের সঙ্গে যুক্ত আলেমরা। তারা মনে করছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব তাবলিগের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে বড় কোনও অঘটনের আশঙ্কা রয়েছে। আর এর পেছনে তৃতীয় কোনও পক্ষ ইন্ধন জোগাচ্ছে।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) সারা দিন তাবলিগ জামাতের বিরোধ নিয়ে বিদ্যমান উভয়পক্ষ, কওমি মাদ্রাসার আলেম-ওলামা ও হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস মিলেছে। এই আলাপে হেফাজতের নেতাদের বক্তব্যেও উঠে এসেছে নানা ধরনের বক্তব্য।

বিগত ২০১৫ সাল থেকে তাবলিগ জামাতে আর্থিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এরপর তাবলিগের কেন্দ্র দিল্লির মারকাজের মাওলানা সা’দ কান্ধলভির কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ ও বাংলাদেশের কওমি আলেমদের একটি বড় অংশ তার বিরোধিতা করে। ওই দ্বন্দ্ব থেকে মাওলানা জুবায়ের ও প্রকৌশলী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের অনুসারীরা পৃথকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।

তাবলিগের কর্মীরা জানান, ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে দুটি পর্বে শুরু হয় ইজতেমা। হেফাজতের নেতারা মনে করেন, ওই দুই পর্বের সূচনা করে মূলত তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমানে ওই দুই পর্ব বাদ দিয়ে একটি পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন জুবায়েরপন্থি ও হেফাজত-সংশ্লিষ্ট আলেমরা।

হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে উল্লেখ করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমরা দফায় দফায় চেষ্টা করেছি। কিন্তু আগের সরকার সাদপন্থিদের সুবিধা দেওয়ার জন্য কওমি আলেমদের কোণঠাসা করে রেখেছিল। এখন পরিবর্তন এসেছে, তাই তাবলিগের যে ধারা, সেখানেই ফিরে যেতে হবে।

 

মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘ইজতেমা একটি ছিল, একটিই হবে। যারা বাতেল, তারা দ্বীনের পথে আসবে। আগের মতো শুরায়ে নেজামের মধ্য দিয়ে আমিরের ব্যবস্থাপনা করা হবে।’ তিনি দাবি করেন, ‘পরিস্থিতি উত্তপ্ত নয়।’

কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। গত ১৮ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে উভয় পক্ষের মারামারিতে নিহত হন তিন জন। আহত অনেকে। এরইমধ্যে ওই নিহতের জের ধরে সাদ অনুসারীদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন— মুফতি মুয়াজ, জিয়া বিন কাসেম, শফিউল্লাহ। এরা সবাই তাবলিগের মাঠপর্যায়ের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সাদপন্থিদের।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইল মারকাজ মসজিদে ‘ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ এবং দাওয়াত ও তাবলিগের সাথীবৃন্দ’ ব্যানারে সাদপন্থিদের বিচার ও তাদের ইজতেমা মাঠে নিষিদ্ধের দাবি করেন হেফাজতের নেতারা।

নজিরবিহীন এক সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন হেফাজতের আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীও। ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে ১০ জানুয়ারি সারা দেশে বিক্ষোভ ও ২৫ জানুয়ারি রাজধানীতে ওলামা সমাবেশ করার কথা জানানো হয়।

এ বিষয়ে হেফাজতের দুজন কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে তারা জানান, ‘তাবলিগের ঘটনায় কিছু একটা আছে বলে তারা মনে করছেন।’

কেন্দ্রীয় একজন নেতার ভাষ্য, ‘উভয় গ্রুপ এখন সীমা লঙ্ঘন করছে।’

একটি ইসলামী আন্দোলনের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, তাবলিগের বিরোধকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে হেফাজতের নেতারা একটি বড় অংশকে প্রতিপক্ষ করে ফেলেছেন। বিশেষ করে ইতোমধ্যে কওমি মাদ্রাসার আওয়ামী লীগ ঘেঁষা তাবলিগের একটি অংশকে বিরোধীপক্ষে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের একজন প্রভাবশালী নেতার দাবি, ‘সাদপন্থিদের সঙ্গে এখন আওয়ামী লীগের অনুসারীরা যুক্ত হয়েছেন। তাবলিগের যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ও পছন্দ করেন, এমন ব্যক্তিরা যুক্ত রয়েছেন।’

এ বিষয়ে সাদপন্থিদের শীর্ষ নেতা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বা তার অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাবলিগের একজন কর্মী জানান, সাদপন্থিরা চাপে থাকলেও ইজতেমায় একটি পর্ব অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে।

একাধিক আলেম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ইতোমধ্যে সরকারের তরফে কাকরাইল মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। যদিও কোনও দায়িত্বশীল এ নিয়ে উদ্ধৃত হতে রাজি হননি।

তাবলিগের সাথীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ঐক্যবদ্ধ তাবলিগ-জামাত পরিচালনা কমিটির শুরা সদস্য ছিলেন ১১ জন। ফায়সাল বা আমির হিসেবে ৭ জন দায়িত্ব পালন করতেন। আর্থিক লেনদেন ও তাবলিগের অর্থের ভাগাভাগি নিয়ে মূলত বিরোধ শুরু হয় ২০১৪ সালের দিকে।

‘তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ’র মজলিসে শুরা সদস্য এবং ফায়সাল (আমির) বর্তমানে সাদপন্থিদের শীর্ষ নেতা সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামের বিরুদ্ধে ‘আর্থিক অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগ তুলেছিলেন তাবলিগের প্রবীণ দায়িত্বশীল মুরুব্বি অধ্যাপক মুশফিক আহমেদ ও তার অনুসারীরা। পাশাপাশি মাওলানা জুবায়েরপন্থিদের প্রতিও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ওয়াসিফ অনুসারীদের।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অধ্যাপক মুশফিক আহমেদের মৃত্যুর পর কোণঠাসা হয়ে পড়েন তার অনুসারীরা। সেই বিরোধ প্রায় চার বছর ধরে চলে। ওয়াসিফ-বিরোধীদের অংশের নেতৃত্বে চলে আসেন মাওলানা জুবায়ের।

উভয় পক্ষের বিরোধ প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর। ওই বছর পাকিস্তানে তাবলিগ-জামাতের একটি আয়োজনে মাওলানা জুবায়েরের অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিরোধে জড়ান সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর জুবায়ের ও ওয়াসিফপন্থিদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ রূপ নেয় ভাঙচুরে।

২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।

রবিবার বিকালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের একজন নেতা বলেন, ‘ইজতেমা নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী হয় এখনই বলা যাচ্ছে না।’

গত ১৮ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তুরাগসহ ইজতেমা মাঠের আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, যা  শনিবার (৪ জানুয়ারি) তুলে নেয় প্রশাসন।

কেন সাদ বিরোধিতা, যা বলছেন আলেমরা

‘দাওয়াতে তাবলিগের বিরোধের মূল কারণ হচ্ছে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলবীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায় একশ’র মতো বিতর্কিত বক্তব্য’-  বলছিলেন, রাজধানীর গুলিস্তান পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী। রবিবার বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘যে পরিপ্রেক্ষিতে দারুল উলুম দেওবন্দ তার বিরুদ্ধে ফতোয়া প্রদান করন। পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ আলেম মুফতি তকী উসমানি চিঠির মাধ্যমে তাকে সতর্ক করেন।’

‘ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানীও সাদ সাহেবকে বারবার সতর্ক করেছেন। তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেও আবার সেই বক্তব্যই দিচ্ছেন বিভিন্ন ইজতেমায়। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে তাবলিগের দুটি গ্রুপ হয়ে যায়।’

ইমরানুল বারী উল্লেখ করেন, ‘মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীরা তাবলিগের মূলধারার আলমি শুরাপন্থির ওপর ২০১৮ সালে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠে অতর্কিত হামলা চালায়। অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর বিরোধ আরও বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বরে আবারও সাদ সাহেবের অনুসারীরা গভীর রাতে ঘুমন্ত আলমি শুরাপন্থিদের ওপর হামলা করলে তিনজন নিহত হয়। তাবলিগের শত শত সাথী আহত হন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমরা সমাধানের জন্য বারবার উভয় গ্রুপের সঙ্গে কথা বলেছেন। শুরাপন্থিরা আলেমদের আহ্বানে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিলেও সাদ সাহেবের অনুসারীরা আলেমদের আহ্বানে যথাযথ সাড়া দেয়নি।’

ইমরানুল বারী বলেন, ‘মাওলানা সাদের একশ’র মতো বিতর্কিত বক্তব্যের মাঝে কয়েকটি বক্তব্য খুবই আপত্তিকর। তিনি নবী হজরত মুসা (আ.), হজরত ইউসুফ আ. ও বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে জঘন্য বক্তব্য দিয়েছেন— যা সম্পূর্ণ কোরআন-হাদিসের বিরোধী। ধর্মীয় শিক্ষকদের বেতন ও ইমামতির সম্মানিকে অবৈধ বলে বক্তব্য দিয়ে বলেন, ‘মসজিদে ইমামতি করে ও মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে বেতন নেওয়া বেশ্যা মহিলার মজুরির থেকে আরও ঘৃণ্য। যারা মসজিদে ইমামতি করে ও মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে টাকা-পয়সা গ্রহণ করে তাদের আগে বেশ্যা নারীরা জান্নাতে যাবে’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ইমরানুল বারী সিরাজী জানান, ক্যামেরা মোবাইল নিয়ে সব আলেম-ওলামার মতামত উপেক্ষা করে ফতোয়া দিয়ে বলেন, ক্যামেরা মোবাইল বহন করে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না। যে আলেম বলবে নামাজ হবে, সে ওলামায়ে ছু বা ভণ্ড আলেম।’

দেওবন্দি ঘরানার আলেমদের বক্তব্যের জবাবে বাংলাদেশে সাদপন্থিদের শীর্ষ মুরুব্বিরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বক্তব্য দেননি। তবে ২০১৮ সালের ১২ জানুয়ারি কাকরাইল মসজিদে এক বয়ানে মাওলানা সা’দ বলেছিলেন, ‘কোনও সময় যদি আমাদের ওলামায় কেরাম কোনও কারণে ভুল ধরেন, আমরা মনে করবো, ওনারা আমাদের ওপর এহসান (উন্নত করার চেষ্টা করা) করেছেন, ওনারা আমাদের মোহসেন। ওলামায় কেরাম যে কথা বলবেন, তাতে আমাদের সংশোধন হবে, ইনশাআল্লাহ। এজন্য ওলামাদের কাছ থেকে আমরা লাভবান হবো। ওনারা কোনও ভুল ধরলে আমরা সংশোধন হবো।’

চলতি বছর তাবলিগে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর। ঢাকায় এবার ইজতেমায় মাওলানা সা’দকে আনা হবে—এমন খবরে গত ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ  করেছিল ‘উলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ’ ব্যানারে কওমি আলেমরা। তবে এই উদ্যোগে বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, বায়তুল মোকাররমের সাবেক খতিব মুফতি রুহুল আমিন, সোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরীদউদ্দীন মাসঊদসহ অনেকেই নেই।

রাজধানীর নিউ মার্কেট মাদরাসাতুন নাজাতের পরিচালক মুফতি সানা উল্লাহ খান বলেন, ‘মূল কথা হচ্ছে তাবলিগে কোনও বিরোধ নেই। বিরোধ শুধু ভারতের মাওলানা সাদ সাহেবের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। মাওলানা সাদ সাহেব যদি তার বক্তব্যগুলো প্রত্যাহার করে খাঁটি দিলে তওবা করেন, তাহলে বিরোধ শেষ হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি তাবলিগ জামাতের কাকরাইল মসজিদে শবগুজারি (রাতযাপন) কার্যক্রম পরিচালনা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা নিয়ে নতুন প্রজ্ঞপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সা’দের অনুসারীরা পূর্ব থেকে জেলা ও উপজেলায় যেসব মসজিদে নিজ নিজ তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিবদমান পক্ষদ্বয় সংশ্লিষ্ট মসজিদে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে পরদিন মিডিয়া টিমে সাদ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, ‘আমরা কাকরাইল মসজিদের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী সরকারের কাছে বৈষম্যবিরোধী সিদ্ধান্ত আশা করছি। সারা দেশে জুবায়েরপন্থিরা বিভিন্ন মারকাজ ও মসজিদ দখল, আমাদের সাথীদের আমলে বাধা প্রদান, ভয়াবহ জুলুম, দেশব্যাপী মব জাস্টিস ও ম্যাসাকার চালাচ্ছে।’

‘আমরা আশা করছি, এই প্রজ্ঞাপনের দ্বারা এই বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে। প্রশাসন সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে এগিয়ে আসবে এবং আন্তরিক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা তাদের অনুরোধ করবো—দেশকে অস্থিতিশীল করতে ও ধর্মীয় ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের পথ থেকে আপনারা ফিরে আসুন। তাবলিগের সঙ্গে এসব বেমানান, ইসলামকে আর ছোট করবেন না।’

প্রসঙ্গত, তাবলিগের চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে সাদপন্থি তাবলিগের সাথীরা সোমবার (৬ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করবেন। চলমান বিভাজন দূর করে সমাধানের প্রত্যাশায় এই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা থাকবেন।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আয়োজকদের পক্ষে ঢাবির অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিসটেমস বিভাগের অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন ভূঁঞা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত