রাজনীতি ও নির্বাচনসংক্রান্ত অর্থায়নে স্বচ্ছতার জন্য কিছু সুপারিশ করেছে কমিশন। এতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী আয়-ব্যয় নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে। হলফনামার তথ্য প্রকাশ করতে হবে। যদি হলফনামায় পর্যাপ্ত তথ্য না থাকে, তথ্য গোপন করা হয় এবং বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ থাকে; তার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে সব সেবা খাতকে স্বয়ংক্রিয় (অটোমেশন) করা, জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ঘুষ লেনদেনকে অপরাধ হিসেবে শাস্তির আওতায় আনার সুপারিশ করেছে কমিশন। দুদকের কেউ যাতে দুর্নীতিতে জড়িয়ে না পড়েন, এ জন্য ‘কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের’ মাধ্যমে নজরদারি অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে দুদক বাস্তব অর্থে স্বাধীন, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারবে। তবে এর জন্য রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন দরকার।