হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। আজ (রোববার) দুপুরে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উদ্বোধন করার পর বিএফডিসিতে দুপুর ২টা থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বিক্রি শুরু হয়।
এসময় ইলিশ কিনতে সাধারণ মানুষের ভিড় জমে। কেউ এক কেজি কেউ আরও বেশি করে ইলিশ কিনেছেন। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করে বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ১০০ কেজি মাছ।
বিএফডিসির আউটলেটের বিক্রেতা নাজমুল জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের ২টা ৪০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। আজকে ১০০ কেজি বিক্রি করেছি। আজ আর বিক্রি করবো না। তবে স্টক থাকা সাপেক্ষে বিক্রি চলবে। ক্রেতারা আবার আগামীকাল এসে কিনতে পারবেন।
মাছ কিনতে আসা আরমান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কারওয়ান বাজার এসে এখানে ভিড় দেখতে পাই। পরে এসে দেখি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। গত ১ বছর ধরে ইলিশ কিনি নাই। আজ কম দামে পেয়ে কিনেছি।
আবিদ রহমান নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ইলিশ খাওয়া আমাদের জন্য দুর্লভ। এক আত্মীয়ের মাধ্যমে শুনছি এখানে কম দামে মাছ বিক্রি হয়।
সরেজমিনে বিএফডিসির প্রধান কার্যালয়ের আউটলেটে দেখা গেছে, ৪৫০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিকেজি গড়ে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন ও মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ইলিশ মাছের সরবরাহ ও মূল্যশৃঙ্খলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ বিক্রির নিয়েছে এই উদ্যোগ।
এর আগে গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল আজ এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। তখন জানা যায়, বিক্রয়যোগ্য ইলিশ মাছের পরিমাণ ৮৫০ কেজি। ক্রেতারা আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে এ মাছ বিক্রি হবে।
এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ইলিশ মাছ শুধু জাতীয় মাছ না। এর সঙ্গে স্বাদ, রান্না, জীবনযাপন অনেক কিছু জড়িত। ক্রয়সীমার মধ্যে রেখে বাংলাদেশের মানুষের এই মাছ খাওয়ার অধিকার আছে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা হয়তো সবাইকে সন্তষ্ট করতে পারবো না। আমরা শুধু এইটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো না। আরও বেশি কীভাবে মানুষের মাঝে পৌঁছাতে পারি সেই চেষ্টা করবো।
আরএএস/এমএইচআর/জেআইএম