চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আওতাধীন নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে যত বিলবোর্ড আছে সমস্ত বিলবোর্ডের চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) নগরীর টাইগারপাসে অস্থায়ী কার্যালয়ে চসিকের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত কমিটির সঙ্গে আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভায় মেয়র এ নির্দেশনা দেন।
মেয়র বলেন, ‘অনিয়মের কারণে আমরা বিলবোর্ড থেকে বেশি ট্যাক্স আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমি একটা উদাহরণ দিচ্ছি বিলবোর্ডের। সেন্ট্রাল প্লাজাতে সাতটা বিলবোর্ড দেওয়া হয়েছে। সাতটা বিলবোর্ডে তারা বছরে চার-পাঁচ কোটি টাকা ইনকাম করছে। কিন্তু আমরা পাচ্ছি বছরে মাত্র ২১ লাখ টাকা। আমরা সমস্ত বিলবোর্ড এবং সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তি বাতিল করে নতুনভাবে নতুন বছরে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো।’
মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘দুর্নীতি কমাতে হবে। এই দুর্নীতির কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঠিক রেভিনিউ পাচ্ছে না। আর্থিক সংকটে সেবামূলক কার্যক্রমগুলো চালাতে আমরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। যার কারণে এই যে সমস্ত নিয়মকানুনকে ডেভিয়েট করে যে নির্দেশগুলো দেওয়া হয়েছে বিশেষ করে ট্যাক্স কালেকশনের ক্ষেত্রে সেগুলো বাতিল করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেটে যাদেরকে আমরা ভাড়া দিয়েছি যাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে সেই চুক্তির যেখানে বরখেলাপ হয়েছে, যদি চুক্তিতে থাকে যার নামে দোকান বরাদ্দ তাকে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে কিন্তু সে যদি আরেকজনকে ভাড়া দিয়ে থাকে তাহলে এই ধরনের চুক্তিগুলো নতুন করে অথবা এই চুক্তিগুলো আমরা বাতিল করতে পারি।’
মেয়র বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমরা প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ফেরত পেতে যাচ্ছি। এ বিষয়ে কার্যক্রম অলমোস্ট শেষের দিকে। আমরা বন্দর থেকে এক শতাংশ হারে মাশুল যেটা চেয়েছি সেটা পজিটিভলি আগাচ্ছে। আরেকটি সুখবর এখন বন্দরের দুই জন ভদ্রলোক ফিন্যান্সের যারা দায়িত্বে আছেন তারা আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। বন্দর থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের যে হোল্ডিং ট্যাক্স পায় তা বাণিজ্যিকহারে পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। সম্ভবত সেটা ১৬২ কোটি টাকা বাৎসরিক হবে। ওইটার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা দুজন এসেছেন, আমার সঙ্গে কথা বলেছে। আমি বন্দরের চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গেও কথা বলেছি। উনিও পজিটিভ আছেন। সচিব মহোদয় পজিটিভ আছেন। আমার মনে হয় এটা যদি হয়ে যায় আল্লাহ রহমতে আমাদের একটা ভালো অ্যামাউন্ট আমরা আশা করি পাবো।’
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।