দেশি গ্রুপগুলোর মধ্যে শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হা-মীম গ্রুপ। তারা গত অর্থবছরে ৬৩টি দেশে ৫৮ কোটি ৯১ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এর প্রায় ৭৪ শতাংশ পণ্যই রপ্তানি হয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে। একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে হা–মীম গ্রুপের রিফাত গার্মেন্টস যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সর্বোচ্চ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক। প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানির পরিমাণ ২১ কোটি ডলার। এ ছাড়া তাদের অ্যাপারেল গ্যালারির প্রায় শতভাগ পণ্য রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
জানতে চাইলে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক বহাল থাকলে বড় প্রভাব পড়বে। এখন আমাদের ব্যবসায়ীদের করণীয় কিছু নেই। আমাদের সরকার যদি চেষ্টা করে কিছু একটা করে। তা না হলে যা হবে, সেটি আমাদের মেনে নিতে হবে।’
চট্টগ্রামের এশিয়ান-ডাফ গ্রুপ গত অর্থবছরে ২৮ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই রপ্তানি হয়েছে ৯০ শতাংশ পণ্য। গ্রুপটির সুবর্ণ গার্মেন্টস ও সি ব্লু টেক্সটাইলের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতভাগ পণ্য যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এ বিষয়ে এশিয়ান–ডাফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপে আমরা উদ্বিগ্ন। দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে এই বাড়তি শুল্ক কমিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভিয়েতনাম ও চীনের ওপর পাল্টা শুল্ক বেশি হওয়ায় তা আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে। আবার ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশের ওপর আমাদের চেয়ে শুল্ক কম হওয়াটাও চ্যালেঞ্জের। যদিও দেশ দুটির উৎপাদন সক্ষমতা আমাদের চেয়ে অনেক কম।’