ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় তিন গাড়িতে বাসের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ছয় জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যায় রেশমা বেগম নামে আরও একজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কায় নিহত একই পরিবারের চার জনের মধ্যে তিন জনকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের নন্দনকোনা গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নিহত আমেনা আক্তার, তার দুই মেয়ে ইসরাত জাহান ইমু ও রিহারকে আমেনা আক্তারের বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আর আমেনার নাতি শিশু আয়েজকে তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা আয়েজের মা অনামিকা ও বাবা নূর আলম সোহান গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আয়েজের ফুফু ও চালককেও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বেপরোয়া যাত্রীবাহী ওই বাসের (ব্যাপারী পরিবহন) ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী শিশু আব্দুল্লাহ নিহত হয়েছে। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন আব্দুল্লার মা রেশমা বেগম।
নিহক আমেনা আক্তারের স্বামী ইকবাল হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোপালগঞ্জে তার ভায়রার মৃত্যুর চার দিন পর সেখানে দোয়ার আয়োজনে যাচ্ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর এক সদস্যের ফোনে এই দুর্ঘটনার সংবাদটি পান তিনি।
রেশমার বাবা মালেক ফকির বলেন, ‘রেশমা মগবাজারের বাসা থেকে স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে আমার ছোট মেয়ের বিয়েতে অংশ নিতে মোটরসাইকেলে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন।’ এখন মেয়ে ও নাতির মরদেহ নিয়ে মাদারীপুরে যাচ্ছেন জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ধলেশ্বরী টোল প্লাজার মাওয়ামুখী লেনে টোল দেওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ ছিল প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি যানবাহন। এ সময় দ্রুতগতির কুয়াকাটাগামী ব্যাপারী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোল প্লাজার ব্যারিয়ার অতিক্রম করে অপেক্ষমাণ প্রাইভেটকারকে চাপা দিয়ে বেশ কয়েকটি যানবাহনকে ধাক্কা দেয়।