ভিনিসিয়ুস জুনিয়র তার ক্যারিয়ারে আরেকটি অনন্য মাইলফলক ছুঁয়েছেন। বুধবার (২২ জানুয়ারি) উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরবি সালজবুর্গের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৫-১ গোলের দুর্দান্ত জয়ে তিনি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে নিজের ১০০তম গোলটি করেছেন। এবার তার লক্ষ্য স্বদেশী রোনালদো নাজারিওর লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে সর্বোচ্চ ব্রাজিলিয়ান গোলদাতার রেকর্ড।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে রদ্রিগো প্রথমার্ধে দুইটি গোল করেন, যার একটি দুর্দান্ত ব্যাকহিল অ্যাসিস্ট থেকে আসে জুড বেলিংহামের পা থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল সংখ্যা বাড়ান। এরপর ভিনিসিয়ুস তার জোড়া গোলের মাধ্যমে ম্যাচের সমাপ্তি ঘটান এবং রিয়াল মাদ্রিদের নকআউট পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেন।
মাদ্রিদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ভিনিসিয়ুসের গোল এখন ১০১। রোনালদো নাজারিওর ১০৪ গোলের রেকর্ড ভাঙতে তিনি এখন মাত্র তিন গোল দূরে। রোনালদো ২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত মাদ্রিদের হয়ে এই গোলসংখ্যা করেছিলেন।
ম্যাচ শেষে ভিনিসিয়ুস বললেন,
‘এই জার্সিতে গোল করতে পারা গর্বের। আমি রোনালদোর রেকর্ডের খুব কাছাকাছি। আশা করি, আমি আরও গোল করতে পারব।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের হয়ে দুটি ফাইনালে গোল করার পাশাপাশি ভিনিসিয়ুসের ঝুলিতে রয়েছে তিনটি লা লিগা শিরোপাও। তবুও ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়ে তিনি কিছুটা অবাক।
‘প্রথমার্ধে আমার পারফরম্যান্স ভালো ছিল না বলে মনে হয়েছিল,’ বলেন ভিনিসিয়ুস। ‘রদ্রিগো বা জুড এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিল। তবে আমি গোল করেছি, ম্যাচ জিতেছি—এটাই বড় ব্যাপার।’
রদ্রিগো তার সতীর্থ বেলিংহামের প্রশংসা করে বলেন, ‘জুডের সঙ্গে খেলা অনেক সহজ। তার মুভমেন্ট আর পাস দুর্দান্ত। তার দ্বিতীয় অ্যাসিস্টটি ছিল অসাধারণ। আমি তার সঙ্গে খেলতে ভালোবাসি।’
কোচ কার্লো আনচেলত্তি দলের রক্ষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে বেলিংহামের পিঠের চোট গুরুতর নয় বলেও জানান।
‘আমাদের আক্রমণভাগ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে প্রতিরক্ষা আরও উন্নত করতে হবে। আমরা দারুণ ছন্দে আছি, কিন্তু আমাদের কিছু খুঁটিনাটি ঠিক করতে হবে,’ আনচেলত্তি বলেন।
এখন প্রশ্ন হলো, ভিনিসিয়ুস কি তার আইডল রোনালদোর রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়তে পারবেন?