জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার মামলার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাদী ভুলবশত মামলা করেছেন। এই মামলার সঙ্গে সরকার মোটেও সংশ্লিষ্ট নয়। জেড আই খান পান্না সাহেব নিজেও বলেছেন এই মামলা রাজনৈতিক কারণে হয়নি। সম্ভবত হয়েছে ব্যক্তিগত কারণে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, মামলা করাটা গণতান্ত্রিক অধিকার। গণহারে মামলা আমরাও সাপোর্ট করছি না। মামলা করায় আপনি কাউকে ঠেকাতে পারবেন না। যখন বাদী বলেছেন তাকে চেনেন না, তখন তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব নাঈম আলী ও সুচিস্মিতা তীথি উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করা হয় আইনজীবী পান্নার বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রায় তিন মাস পর, ১৭ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের। এই মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামি মোট ১৮০ জন। ৯৪ নম্বর নামটি জেড আই খান পান্নার।
ঘটনা প্রকাশ পেলে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সরকারের সমালোচনা করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মামলার বিষয়ে জেড আই খান পান্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, ১৮০ জন আসামির মধ্য ৯৪ নম্বর আসামি হতে আমার আপত্তি আছে। মামলা যখন দেবেনেই, আমাকে এক নম্বর আসামি করে দেন। এটা কোনও না কোনও প্রভাবশালীর ইন্ধনেই হয়েছে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ নেই।
পরে সোমবার (২১ অক্টোবর) জেড আই খান পান্নাকে মামলা থেকে বাদ দিতে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় আবেদন করেন মামলা বাদী। ‘ভুলবশত’ আসামি করা হয়েছিল দাবি করে পান্নার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করেন মো. বাকের।