ছাত্র–জনতার ৩৬ দিনের আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের শাসনের পতন হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের দীর্ঘ প্রেক্ষাপট রয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় বলে মনে করে বিএনপি।
দলটির নেতারা বলছেন, বিগত ১৬ বছরে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন–সংগ্রামে গুম–খুন, মামলা, জেল–জুলুমসহ নানা নির্যাতন–নিপীড়নের শিকার হয়েছে। দলের তৃণমূলের নেতা–কর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতা কেউই রেহাই পাননি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ একজন নেতা বলেন, তাঁদের দীর্ঘ এ আন্দোলন ও ত্যাগ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রেক্ষাপট তৈরি করে। একপর্যায়ে ছাত্ররা এগিয়ে এলে গণ–অভ্যুত্থান হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ের এ গণ–অভ্যুত্থানেও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এখন ঘোষণাপত্র করতে হলে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রামের স্বীকৃতি থাকতে হবে।
বিএনপি তাদের প্রস্তাবের খসড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২–দলীয় জোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ (এলডিপি) মিত্র দল ও জোটগুলোকে দিয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা অল্প সময়ের মধ্যে জোটে বিএনপির প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করে তাঁদের মতামত জানাবেন।