জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ঢাকায় নিহত হওয়া এক ব্যক্তির কলেজপড়ুয়া মেয়েকে (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরজন এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিকালে দুমকি উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সাকিব মুন্সী ওই উপজেলার মামুন মুন্সির ছেলে। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার দুজনের নাম উল্লেখ করে দুমকি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী।
ভুক্তভোগীর ভাষ্য ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাঙ্গাশিয়ার নিজ বাড়ি থেকে নানার বাড়িতে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে সাকিব মুন্সী ও তার এক সহযোগী তুলে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। তারা মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে। ওই সময় ছাত্রী চিৎকার দিলেও নির্জন এলাকা হওয়ায় কেউ এগিয়ে আসেনি। এ ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত। এ ঘটনায় বুধবার কলেজছাত্রী দুমকি থানায় মামলা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীর বাবা জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় নিহত হয়েছেন। মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে থাকেন ওই ছাত্রী।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ছাত্রীকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’