পলির আপন বোন রিমা খাতুন তাঁর পাশে বসেই শাক কাটছিলেন। তিনি বলেন, ‘জীবন মানে কষ্ট ভেবেই রাত–দিন কাজ করি। স্বামী নির্মাণশ্রমিকের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। সপ্তাহে দুই দিন কাজ করেন, তো তিন দিন শুয়ে থাকেন। সংসার খরচের চিন্তা তাঁর নাই। দুইটা ছেলে–মেয়ে। শাকের মৌসুম শেষ হলে পেঁয়াজু-পুরির দোকান নিয়ে বসেন।’
যাঁর হাত ধরে এখানে কেটেকুটে শাক বিক্রি শুরু, সেই মলি বেগম বলেন, তিনি একা শুরু করেছিলেন। এখন ১০-১২ জন মিলে এই ফুটপাতে শাক কুটে বিক্রি করেন। তিনি চান, আরও মেয়েরা এই কাজে আসুক। আরও বেশি মানুষ শাকসবজি কিনুক। স্বামী–স্ত্রী দুজন মিলেই সংসার চালাতেন। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তাঁর স্বামী আর কোনো কাজ করতে পারেন না। সংসারের দায়িত্ব তাঁকে একাই বহন করতে হয়। এক শাকের মৌসুম শেষ হলে আরেক শাক নিয়ে বসেন।
আধা কেজি খেসারি শাক কিনেছেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক রাশিদা বেগম। তিনি বলেন, এই নারীরা এত মিহি করে শাক কুটে দেন, খুব ভালো লাগে। তাই তিনি কেনেন।