বিতর্কিত ও বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ট্যাক্স হেভেন খ্যাত এন্টিগুয়া অ্যান্ড বার্বুডার নাগরিকত্ব গ্রহণসহ দেশ-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়োর তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ ছাড়া পাঁচ বছর মেয়াদি বন্ডে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগও রয়েছে জিয়াউলের।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে দুদক প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তলে ধরেন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় আসামি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান (বরখাস্ত) ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহানের নামে কমিশনের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে একটি নিয়মিত মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ২২ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজ নামের ৮টি সক্রিয় ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১২০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। এ ছাড়া ২০১৭ সাল থেকে ট্যাক্স হেভেন খ্যাত এন্টিগুয়া অ্যান্ড বার্বুডার নাগরিকত্বও রয়েছে তার।
আহসান ও তার পরিবারের পক্ষে দুই লাখ মার্কিন ডলার মালেশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে পরিশোধ করা হয়েছে মর্মে তথ্য পেয়েছে দুদক।
জিয়াউল আহসান এন্টিগুয়া অ্যান্ড বার্বুডার পাঁচ বছর মেয়াদি বন্ডে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা আছে মর্মেও জানতে পেয়েছে দুদক।
এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্স্ট আবধাবি ব্যাংকে প্রায় ছয় মিলিয়ন দিরহাম বা ২০ কোটি টাকা, আবুধাবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে প্রায় ২৩ মিলিয়ন দিরহাম বা ৭৫ কোটি টাকা, মালয়েশিয়ার এএফএফআইএন ব্যাংকে প্রায় সাত লাখ রিঙ্গিত বা ৭৫ কোটি টাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক অব আমেরিকায় বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে মর্মে অনুসন্ধানকালে জানতে পেরেছে কমিশন।